স্টাফ রিপোর্টার ॥ বরিশালে তৃতীয় দিনেই কোভিড-১৯ টিকা কেন্দ্রে প্রচুর ভিড় দেখা গেছে। প্রথম দুই দিন গণমাধ্যমে টিকা প্রদান কার্যক্রম দেখে এবং কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া না থাকায় উদ্বুদ্ধ হয়ে টিকা নিতে এসেছেন তারা। টিকা নিতে পেরে খুশী তারা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, টিকা প্রদান কার্যক্রমের শর্ত শিথিল করায় সম্মুখ যোদ্ধা ছাড়াও তাদের ১৮ ঊর্ধ্ব পরিবারের সদস্য এবং ৪০ বছরের ঊর্ধ্বে সাধারণ জনগণ টিকা নিতে ভিড় করছেন। অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন ছাড়াও স্পট রেজিস্ট্রেশন করে তাৎক্ষনিক টিকা প্রদানের ব্যবস্থা করার কথা জানিয়েছেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস। গত রবিবার প্রথম দিন বরিশাল বিভাগের ৬ জেলা এবং সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ৪৩ কেন্দ্রে কোভিড টিকা নিয়েছেন ১ হাজার ৪১২ জন। সোমবার দ্বিতীয় দিন টিকা নিয়েছেন ১ হাজার ৫৪৪ জন। গত দুই দিনের টিকা প্রদান কার্যক্রমের চিত্র বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেখে এবং কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার খবর না পেয়ে আজ মঙ্গলবার তৃতীয় দিনে প্রতিটি কেন্দ্রে ভিড় করেছেন অনেক আগ্রহী। তারা বলছেন, টিকা গ্রহণের সময় তেমন কোন ব্যথা পাওয়া যায় না। নেই কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও। কোভিড টিকা নিয়ে করোনা থেকে নিজেদের সুরক্ষিত করার কথা বলছেন তারা। শের-ই বাংলা মেডিকেলের একটি বুথে টিকা প্রদানের দায়িত্বপ্রাপ্ত নার্সিং কর্মকর্তা লাবনী আক্তার বলেন, আগের চেয়ে টিকা প্রদানের শর্ত শিথিল করায় সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়াও অনেক সাধারণ জনগণ মঙ্গলবার তৃতীয় দিনে টিকা নিতে ভিড় করেছেন। দ্বিতীয় দিনের চেয়ে তৃতীয় দিন দ্বিগুণ ভীর হয়েছে। আগামীতে আরও ভীর বাড়বে বলে ধারনা করছেন তিনি। বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস বলেন, বরিশাল সিটি এলাকা সহ বিভাগের ৬ জেলায় টিকা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ৫৪০টি টিম রয়েছে। টিকাগ্রহণকারীদের চাপ বাড়লে টিমের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। বরিশাল সিটি এলাকায় ৭টি এবং জেলার ৯ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৯টি সহ মোট ১৬টি বুথে দেয়া হচ্ছে করোনার টিকা। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. সুব্রত কুমার দাস বলেন, শিক্ষার্থীরা রোদে কষ্ট করুক সেটা তারা চাচ্ছেন না। তাই তাদের বুঝিয়ে বাসায় পাঠানো হয়েছে। যাতে তারা করোনা মহামারী থেকে সুরক্ষিত থাকতে পারে। শিক্ষার্থীদের দেয়া স্মারকলিপি বিবেচনা করার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছ উপস্থাপন করা হবে।
Leave a Reply